আমাদের পূর্বপুরুষরা দীর্ঘ জীবন বেচেঁ থাকার ক্ষমতা পোষণ করতেন। পাহাড়ের কোলে বহু সন্ন্যাসী আছেন যাঁদের বয়স পেরিয়েছে ১০০। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কমেছে মানুষের গড় আয়ুর সংখ্যা।
*তাহলে কিভাবে পাবেন দীর্ঘ আয়ু?*
আগেকার দিনের মানুষজনের দীর্ঘায়ুর পেছনে রহস্য ছিল তাঁদের খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিকর নির্ভেজাল খাবার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করতে পারলে মৃত্যুর সম্ভাবনা ১৭ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া যায় আর হৃদযন্ত্র জনিত রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২৮ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া যায়।
গবেষকদের মতে পৃথিবীর Blue Zone অংশগুলির স্টাডি করা হয়েছে। Blue Zone হল সেই ক্ষেত্র, যেখানে লোকেরা কমসে কম একশো বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। বিভিন্ন রকম পার্থক্য থাকলেও আবার মিল পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যেকমন খাবার হল বিন্স । আমেরিকান জার্নাল অফ লাইফস্টাইল মেডিসিন অনুসারে ডায়েট করা ছাড়াও এক্ষেত্রে লোকেরা বেশি কাজকর্ম করা, চলাফেরার অভ্যাস, টার্গেট ঠিক করে কাজ করা এবং সামান্য মাত্রায় মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে।এই লোকেরা ফল ও সবজি খাওয়ার বিষয় বেশি অভ্যস্ত।
*বিনস (Beans) কেন এত জরুরি?*
Blue Zone-এ গবেষণা করে গবেষকরা পেয়েছেন যে লম্বা জীবন বাঁচার জন্য সমস্ত লোকেরা প্রতিদিন প্রায় এক কাপ বিনস অবশ্যই খান। প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর থাকে এটি। এর মধ্যে কোন ফ্যাট থাকে না। সেরোলজিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা অনুসারে ফাইবারের পর্যাপ্ত লম্বা এবং স্বাস্থ্যকর জীবন এর সঙ্গে জড়িত এটি। ডিপ্রেশন , হাইপারটেনশন , ডায়াবেটিস রোগ থেকে আমাদের মুক্ত রাখে। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্য ঠিক রাখা এবং বয়স বাড়তে শুরু করলে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে মনোযোগ দেয়। anti-diabetic হওয়ার সঙ্গে এবং হার্টের রোগের ভয় কম করে।
বিনস বিভিন্ন প্রকারের হয়। সবুজ ছাড়াও, কালো এবং লাল রাজমা রূপে পাওয়া যায়ষ। সিমও বিনসের মধ্যেই পড়ে। বেশি প্রোটিন ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য আপনার ডায়েটে নিশ্চয়ই রাখতে হবে এটি। আপনি নিশ্চিত রূপে লম্বা জীবন পাবেন। এটি আপনি সবজি, সালাড অথবা স্মুদির মত করে নিয়ে খেতে পারেন।