ভারতীয় ইন্টারনেটের ইতিহাস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

(দ্বিতীয় পর্ব)
২জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পরে ইন্টারনেটের গতি বেড়ে ২.৪ কেবি প্রতি সেকেন্ড থেকে ৬৪ কেবি প্রতি সেকেন্ড হয়। সাধারণ মানুষের জন্য এই পরিষেবা চালু হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন মোবাইলেও এই পরিষেবা চালু হয়। ২০০৫ সালে ভারতে প্রথম ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু হয়। এরপর থেকে এই পরিষেবা বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রভূত উন্নতি লাভ করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই পরিষেবাতে অ্যাক্সেস রিসোর্সের সমস্যার দরুন, ভারত সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রশ্নের মুখে পরতে হয়েছিলো। তবে ২০১০ সালে ৩জি স্পেকট্রাম নিলামের মাধ্যমে সেই বাঁধা অতিক্রান্ত করতে সক্ষম হয়। ২০০৭ সালে একটি সমীক্ষাতে উঠে আসে, ভারতে প্রতি সেকেন্ডে গড় ডাউনলোডের গতি প্রায় ৪০ কেবি প্রতি সেকেন্ড যেখানে ডাউনলোডের গতি ৬.৬ এম বি প্রতি সেকেন্ড সেট করা হয়েছিলো ট্রাইয়ের তরফ থেকে। ভারতীয় অবকাঠামোর এই ইস্যুর জন্য ২০০৭ সালটিকে সরকার থেকে ‘ব্রডব্যান্ডের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছরে আরও একটি পরিসংখ্যানে উঠে এসেছিল দেশের ৭৫ শতাংশের বেশি ব্রডব্যান্ড সংযোগ শীর্ষ ৩০টি শহরে রয়েছে। অপরদিকে, আতর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২০১২ সালের মধ্যে ৫০০-র বেশি জনসংখ্যা আছে এরকম শহর এবং গ্রামকে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। এই পদক্ষেপ দুটি ধাপে এগিয়ে চলেছে এবং প্রায় ৬৯০ বিলিয়ন টাকা এই কাজের জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে, গুগল এবং টাটা গ্রামীণ মহিলাদের স্বাক্ষর করার লক্ষ্যে ইন্টারনেট সাথী প্রকল্প চালু করেছে।

Journalist Name : Tamoghna Mukherjee