ভারতীয় ইন্টারনেটের ইতিহাস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

(অন্তিম পর্ব)
অনলাইনে ই- কমার্স কম্পানি গুলো আত্মপ্রকাশের পরবর্তি সময়ে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কম্পানিগুলোর ব্যাবসা উত্তরোত্তর বেড়েছে। ২০১৭ সালে ই-কমার্স শিল্পের মোট ব্যাবসার পরিমাণ ছিল ২.৪৬ ট্রিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা। অপরদিকে, ২০১৮ সালে অনলাইন গ্রাহকের সংখ্যা যেখানে ১২০ মিলিয়ন ছিল , ২০২০ সালে সেটি বেড়ে দাড়ায় ১৭৫ মিলিয়ন। ওয়ার্ল্ড ইকনমি ফোরামের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৯ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬০% মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন। প্রসঙ্গত, ফোরাম জানিয়েছেন  মোট ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর এক চতুর্থাংশের বয়স ৩৫ বছরের বেশি। ২০২১ সালের সমীক্ষাতে জানা গেছে অন্তর্জাল ব্যাবহারকারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশ, যার মধ্যে ১০৫ শতাংশ ব্যাবহারকারী শহরে বসবাস করে। অন্যদিকে সাকুল্যে ৩৭% গ্রামের মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করে। তবে ইকনমিক ফোরামের অনুমান অনুযায়ী ২০৩০ সালে ভারতের ইন্টারনেট গ্রাহকের মধ্যে ৮০% গ্রাহক মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যাবহার করবে।
পরিশেষে, ইন্টারনেট ইতিহাস ঘেঁটে আমরা জানতে পারলাম ভারতে এই পরিষেবা আমাদের প্রভূত উন্নতি সাধন হয়েছে। তবে পারিপার্ষিক পরিবেশ এই অন্তর্জাল পরিষেবার জন্য বড় ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছে। এই পরিষেবা চালু রাখার জন্য যেখানে -সেখানে গড়ে উঠেছে মোবাইল এবং ইন্টারনেট টাওয়ার। সেই টাওয়ার থেকে নির্গত প্রতিনিয়ত নির্গত হয়ে চলেছে ভয়ঙ্কর রেডিয়ো অ্যাক্টিভ রশ্মি। এই রশ্মির ফলে পরিবেশের খাদ্য শৃঙ্খল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত ক্ষতিসাধন হয়ে চলেছে। তাই প্রতিবেদনের শেষে এই প্রশ্ন উঠে আসে ইন্টারনেট বা অন্তর্জাল আশির্বাদ না অভিশাপ।

Journalist Name : Tamoghna Mukherjee