স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর মিলবেনা সব ধরনের চিকিৎসা, নয়া বার্তা স্বাস্থ্যভবনের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে আর মিলবেনা সবধরনের চিকিৎসা। হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, দন্ত চিকিৎসা সহ একাধিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জারি করল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, হার্নিয়া-র অস্ত্রপচার অত্যধিক জটিল না হলে তা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালেই করাতে হবে রোগিকে। বেসরকারি হাসপাতালে আর মিলবে না হার্নিয়া রোগের চিকিৎসা। এছাড়া হাইড্রোসিল অপারেশন গুলির ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে রাজ্য সরকার। এখন থেকে সমস্ত রকমের হাইড্রোসিল অপারেশন সরকারি হাসপাতালেই হবে। বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলবেনা এই চিকিৎসা। পাশাপাশি ক্যান্সার সার্জারি ও পথ দূর্ঘটনার শিকার রোগীর প্রস্থেসিস ব্যতিত সমস্ত প্রকার দন্ত চিকিৎসা হবে সরকারি হাসপাতালে। অ্যাপেনডিক্স সহ পেটের একাধিক অস্ত্রপচারের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে রাজ্য সরকার। যদিও মুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার পথ খোলাই থাকছে। কিন্তু তার জন্যেও রোগীকে পেশ করতে হবে উপযুক্ত নথি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের তাগিদে একাধিক জনকল্যানকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো 'স্বাস্থ্যসাথী কার্ড'। পূর্বে এই কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সব ধরনের চিকিৎসা করানো গেলেও বর্তমানে তা আর হবে না। বুধবার সমস্ত সরকারি দফতরের ক্ষেত্রে খরচে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য দাবি করেন মূখ্যমন্ত্রী। সেইমতো বৃহস্পতিবার‌ই রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন মারফত জারি করা হয় একাধিক নির্দেশিকা। সূত্রের খবর বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় মোট ২ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবার। যার কারণে বার্ষিক খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬০০-২৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে হার্নিয়া-হাইড্রোসিলের চিকিৎসায় সরকারের বছরে খরচ হয় প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা। বর্তমানে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক দূর্নীতি সামনে আসায় বিধ্বস্ত মমতা সরকার। বেহাল দশা পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির। সেকারণেই এই নয়া নির্দেশিকা বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এখন উন্নত। হার্নিয়া এবং হাইড্রোসিলের ন্যায় ছোটখাটো অস্ত্রপচার গুলি সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো তেই সম্ভব। যদিও এ নিয়ে সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি রাজ্যের বিরোধী শিবিরগুলি। যদিও সরকারের এই হঠাৎ গৃহীত সিদ্ধান্তে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠেছে আম জনতার।


Journalist Name : Uddyaloke Bairagi

Related News