ফের শুরু হচ্ছে রাজ্যের দুয়ারে সরকার প্রকল্প

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আজ থেকে ফের শুরু হচ্ছে রাজ্যের 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প। চলবে আগামী এক মাস পর্যন্ত।এই প্রকল্প তৃনমূল সরকারের এমন একটি প্রয়াস যা আলোচনায় উঠে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সরকারি কাজের জন্য সরকারি অফিসে দৌড়াতে হয়। অনেক সময় সাধারণ মানুষের হেনস্থার খবরও সামনে আসে।তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকারের এই অনবদ্য প্রয়াস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরকারের এই প্রয়াস মূলত মানুষের কাছে পৌঁছে উন্নয়নের, মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য। দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পঞ্চম দফার কাজ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলবে বিভিন্ন জেলায় জেলায়।
মোট ২৭ টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে। ইতিমধ্যেই গত শনিবার বিকেলে জেলা শাসকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব। গত শুক্রবারেই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের আরও দুটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছেন নবান্ন।জমির পাট্টা দেওয়ার আবেদনপত্র এবং নতুন বিদ্যুতের সংযোগ ও বিদ্যুতের বকেয়া বিল মেটানো। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে এই দুই প্রকল্পেরও উপভোক্তা সুবিধা পাবেন।পঞ্চায়েত এবং গ্ৰামোন্নয়নয়নের একটি সূত্রে জানা গেছে এইবারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পটি বাদ গেছে। আগেরবারের শিবিরগুলোতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে জব কার্ডের জন্য আবেদন পত্র বিলি করা হত।
এই প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্যে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলা শাসকদের সতর্ক করেছে রাজ্য প্রশাসন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে 'দুর্নীতি’ কে ইস্যু করে জেলায় জেলায় পথে নামছে সিপিএম। সিপিএম – এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায় দুয়ারে সরকার প্রকল্পটি তৃনমূল সরকারের ভোট লুটের জন্য একটি চাল। ‘দিদিকে বলো'র মতো কয়েকদিন পর থেকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকেও মানুষ আর সুবিধা পাবেন না। মূলত নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই সরকারের এই চাল পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভোট পাওয়ার জন্য। তাই সিপিএমের কর্মীরা পথে নেমে সরকারের দুর্নীতি সাধারণ মানুষের সামনে আনবেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলোরই নাম পরিবর্তন করে নিজেদের প্রকল্প বলে চালাচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়া কর্মসূচির নজরদারিতে থাকছে জোড়া কন্ট্রোলরুম। নবান্নে  দায়িত্বে থাকবেন আইএএস অফিসার। দুই কর্মসূচিতেই প্রশাসনিক স্তরের কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না নবান্ন। গাফিলতি প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে দায়িত্বপ্রাপ্তকে বা দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে এসে যাতে কেউ কোনওভাবেই বঞ্চিত না হন বা কাউকে যাতে বিব্রত হতে না হয় সে দিকে নজর রেখেই কন্ট্রোল রুম খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। এই কন্ট্রোল রুম থেকে জেলায় জেলায় চলা শিবিরগুলিতে চলবে নজরদারি।
প্রশাসনিক স্তরের কোনও কিছুতে অভিযোগ এলে তাও দ্রুততার সঙ্গে খতিয়ে দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের বন্দোবস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার চেষ্টা করা হবে। সেক্ষেত্রেও এই কন্ট্রোল রুম থেকেই সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেবে নবান্ন।
দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হচ্ছে ১নভেম্বর থেকে। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। অন্যদিকে পাড়ায় সমাধান শুরু হচ্ছে ১নভেম্বর থেকে। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags: