ন্যাক-এর এ++ স্বীকৃতি পেল বেহালা কলেজ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর এ++ গ্রেড পেল বেহালা কলেজ। কলেজের শিক্ষাদান, গবেষণা এবং পরিকাঠামোর শ্রেষ্ঠত্বের উপর নির্ভর করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন করে ইউজিসি-র ন্যাক। বিগত বহু বছর ধরে ইউজিসি স্বীকৃত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান, তাঁদের গবেষণা পদ্ধতি, পরিকাঠামো-সহ আরও অনেক বিষয় খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে থাকে ন্যাক। পাশাপাশি, এই দিকগুলির শ্রেষ্ঠত্বের উপর নির্ভর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে গ্রেড দেওয়া হয় ন্যাকের তরফে।

ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল-এর (ন্যাক) মূল্যায়নের এই খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি প্রধান শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ শর্মিলা মিত্র বলেন, "পর পর তিনবার বেহালা কলেজ ন্যাক-এর (National Assessment and Accreditation Council, NAAC) গ্রেড পেয়েছে। তবে এই প্রথমবার আমরা শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলাম। " তাদের স্কোর 4-এর মধ্যে 3.58। এর পাশাপাশি বেহালা কলেজ ছাড়া বেথুন কলেজও ন্যাকের মূল্যায়নে উল্লেখযোগ্য ফল করেছে। বেথুন কলেজ এ প্লাস পেয়েছে। তাদের স্কোর 3.26। তিনি আরও জানান, 2005 ও 2015 সালে বেহালা কলেজ ন্যাকে-র জন্য আবেদন করেছিল। 2005 সালে বি প্লাস প্লাস এবং 2015 এ গ্রেড পেয়েছিল কলেজ। তবে এবার প্রথম তারা এ প্লাস প্লাস পেয়েছে । অধ্যক্ষ বলেন, "স্বাভাবিক ভাবে আমাদের সকলের খুবই ভালো লাগছে। আমাদের কলেজে খুবই সাধারণ বাড়ির পড়ুয়ারা আসে। এই কলেজে ন'টি এমন কোর্স আছে যেগুলি পড়ুয়াদের গঠনমূলক শিক্ষা দিতে সাহায্য করে। এই ধরনের একাধিক কোর্স এখানে একেবারে বিনামূল্যে করানো হয়ে থাকে।"
বেহালা কলেজ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে আরও দু’টি কলেজ এ++ গ্রেড পেয়েছে। রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন এবং বেলুড় বিদ্যামন্দির। এই দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর বেহালা কলেজের নামও যুক্ত হল এ++ এর তালিকায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিভিন্ন মাপকাঠিতে মূল্যায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ন্যাক। বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে উচ্চ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে স্কোর বা গ্রেড দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ স্কোর হল এ প্লাস প্লাস। সেই এ প্লাস প্লাস গ্রেডই অর্জন করেছে বেহালা কলেজ। প্রসঙ্গত দু'টি ভাগে ন্যাকের মূল্যায়ন করা হয়। কলেজের দেওয়া নথি অর্থাত্‍ ডেটার উপর ভিত্তি করে 70 শতাংশ মূল্যায়ন করা হয়। অন্যদিকে, বাকি 30 শতাংশ নির্ভর করে শিক্ষাক্ষেত্রে কলেজ পড়ুয়াদের কতটা সার্বিক উন্নতি হয়েছে, তার উপর। পাশাপাশি কলেজের পরিকাঠামো, গবেষণা, শিক্ষাগত মান, ভবন, গ্রন্থাগার-সহ আরও বেশ কিছু বিষয় দেখা হয়।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags: