কৃষ্ণচন্দ্রের জগদ্ধাত্রী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দীর্ঘ বছর ধরে ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছে। যেখানে প্রতিবছর এই কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখার জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় হয়ে থাকে,সাথে মেলাও হয়। কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা যেতে না যেতেই জগদ্ধাত্রীর আগমন। দেবী দুর্গার বিসর্জনের ঠিক একমাস পরে শুক্লা নবমী তিথিতে দেবীর জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো শুধুমাত্র একদিনেই শেষ নয়, পঞ্চমী থেকে দশমী মা দুর্গার মতো করে পুজো হয়ে থাকে এই দেবীর। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই পুজোয়। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির মতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। তবে কৃষ্ণনগরে এই প্রচলন হওয়ার পরে ধীরে ধীরে এই পুজোর প্রচলন বৃদ্ধি হতে থাকে। সময়কাল নিয়ে মতভেদ থাকলেও আনুমানিক সূচনাকাল কিন্তু কৃষ্ণনগরেই। এরপর কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির দেখা দেখি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রজারা এখানকার চাষা পাড়ায় একটি জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন করেন যা বুড়িমা নামে বিখ্যাত। কিন্তু বিষয় হচ্ছে প্রথমে এখানে কিন্তু মূর্তি পূজার প্রচলন একদমই ছিল না ঘট পেতে তারা পুজোর প্রচলন করেছিলেন প্রথম দিকে এখানকার দুধ গোয়ালারা দুধ বিক্রি করে পুজোর আয়োজন করত। পড়ে গোবিন্দ ঘোষ মূর্তি পুজোর মধ্যে দিয়ে নতুন করে এই পুজো উদ্বোধন করেন। সেই সময় কিন্তু দেখতে দেখতে আবারও চলে এলো তবে আর দেরি কেনো চলুন ঘুরে আসি কৃষননগরের এই জগদ্ধাত্রী পুজো। সাথে আনন্দ ,মেলা , সবকিছুর মধ্যে দিয়ে জাকজমক হয়ে উঠলেও শেষে থাকছে চমকে দেওয়ার মতো কার্নিভালের ব্যাবস্থা যা দেখার জন্য পুজোর এই শেষ দিনটিতে আবারও জমে ওঠে এই কৃষ্ণনগর শহরটি।

Journalist Name : Joly Pramanick

Tags: