ফরাসিডাঙায় "আদি মা" এর আবির্ভাব!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কালীপুজোর পর প্রতি বছর আলোর সাজে সেজে ওঠে চন্দননগর। এই চন্দননগরেই ফরাসিরা উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। সেই সময় ফরাসিদের দেওয়ান ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। এই ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীই মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের অনুপ্রেরণায় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। চালের ব্যবসা ও সুদের কারবারের মালিক ছিলেন ইন্দ্রনারায়ান চৌধুরী। কাজের চাপে কোনো ব্যবসায়ীরাই দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন উপভোগ করতে পারতো না। সেই কারণে ইন্দ্রনারায়ান চৌধুরী তাদের দুঃখ মেটানোর জন্য  নিজের প্রাসাদেই জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। 
কথায় বলে , ইন্দ্রনারায়ান চৌধুরীর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ছিলো। একসময় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে নবাবের দলবল আটক করে রাখলে ইন্দ্রনারায়ান চৌধুরী বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন। এরপরই ইন্দ্রনারায়ান তৈরি করেন নন্দদুলাল মন্দির। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও ক্ষমতার জন্য ইংরেজ সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভ ক্রোধে ফেটে পড়েন। সেই ক্রোধে ক্লাইভ চন্দননগরের লক্ষীগঞ্জে জলপথে ও স্থলপথে আক্রমণ করে। নন্দদুলাল মন্দিরও বাদ যায়নি তার আক্রমণের হাত থেকে। এই অবস্থার পর ব্যবসায়ীরা ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর বাড়ির পুজোই চাউলপট্টিতে শুরু করেন। প্রথম দিকে সংকল্প হতো ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর নামে। পরে চৌধুরী পরিবারের উত্তরসুরিদের নামে পুজো হয়। এই পুজোই "আদি মা" নামে প্রচলিত আছে। ঠিক একইভাবে এখনো এই পুজো চলে আসছে চন্দননগরে।

Journalist Name : Papri Chakraborty

Tags: