এখন ফ্যাশনের তুঙ্গে রয়েছে ট্যাটু। ফ্যাশনের একটি বিশেষ অঙ্গ হয়েছে উঠেছে ট্যাটু। শরীরের বিভিন্ন অংশকে নানা রঙিন নকশা দিয়ে সাজিয়ে তোলার হিড়িক রয়েছে ফ্যাশনদুরস্তদের কাছে। শরীরে আঁকা ট্যাটু আপনার মৃত্যুও যে ডেকে আনতে পারে, তা কি জানেন? না এইডস নয়, সেই ঝুঁকি তো আগেও ছিল। বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে ট্যাটুর রং। বিজ্ঞানীমহলের দাবি, ট্যাটুও ক্যানসারের কারণ। ট্যাটুর বিশেষ একটি রং-কেই তাঁরা এ জন্য দুষছেন। বাকি রংগুলোর তুলনায় একটি রং-ই বেশি টক্সিক। নিজের পছন্দ মতো নকশা বেছে নিলেও ট্যাটু করার আগে এবং পরে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ত্বকের ওপর সূচ ফুটিয়ে তা দিয়ে ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা কোনও সহজ কাজ তো নয়।
শরীরে উল্কি আঁকানোর বৈজ্ঞানিক কোনো উপকারিতা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উল্টো উল্কি ব্যবহারে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েছে। হেপাটাইটিস, টিউবারকিউলোসিস, টিটেনাস ইত্যাদি রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, উল্কির রংও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ উল্কি আঁকার রাসায়নিক পদার্থ চামড়ার ভেতরের স্তরে প্রবেশ করে। আর যেহেতু এই উল্কি সারাজীবন শরীরে থাকবে, তাই ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থও সারা জীবন দেহে থেকে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ এমনকি ক্যান্সার হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। ট্যাটুর রং তৈরীতে মূলত ব্যবহার করা হয় নিকেল ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও যাদের স্কিন অ্যালার্জী রয়েছে তাদের জন্য এই ট্যাটু খুবই বিপজ্জনক। তাই শরীরের কোনও স্থানে ট্যাটু করার আগে সব দিক বিচার-বিবেচনা করে তবেই সেদিকে এগনো বুদ্ধিমানের কাজ।
ইউরোপিয়ান কেমিক্যাল এজেন্সির একটি গবেষণার ভিত্তিতে শরীরে ট্যাটুর রঙের প্রভাব নিয়ে তারা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছে। তার রিপোর্ট কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই। ট্যাটুর রং থেকে অ্যালার্জি কিছু অজানা বিষয় নয়। শুধু তাই নয়, কার্সেজেনিক বলেও তাঁরা মনে করছেন। রঙের উপাদানে থাকা টক্সিক প্রজননেও প্রভাব ফেলে।
এই রাসায়নিক পদার্থ ধীরে ধীরে চামড়ার ভেতর থেকে শরীরের ভেতরেও প্রবেশ করে। যেহেতু উল্কি সারাজীবন দেহে থেকে যায় সেহেতু এই রাসায়নিক পদার্থও সারাজীবন শরীরে থেকে যাবে। যার ফলে নানান দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয় এমনকি ক্যান্সারের মত জটিল রোগও হতে পারে।
পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এই রঙের উপাদান মানবদেহের লসিকা গ্রন্থির মধ্যে জমা হতে পারে৷ বিন্সলে বলেন, ‘‘লসিকা গ্রন্থির প্রক্রিয়াটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশেষ করে শরীরের বিশুদ্ধিকরণের ক্ষেত্রে৷ এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরে থাকাটা বেশ বিপজ্জনক৷''