শীতে শ্বাসকষ্ট হলে কি করবেন

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

ধীরে ধীরে কমছে কমছে তাপমাত্রা। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কমছে। হালকা হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে শরীরে। এই সময়ে অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা যত বাড়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও তত বাড়ে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে আমাদের অনেকেই স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাধারণত শীতকালীন কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, কোল্ড এলার্জি বা শীত সংবেদনশীলতা। আমরা দেখে থাকি শীত আসলেই অনেক শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বা সারা শীত জুড়ে অসুস্থ থাকেন। এর বেশির ভাগ হয়ে থাকে কোল্ড এলার্জির কারণে।
ধোঁয়া, ধুলাবালি, ফুলের রেণু, কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস, বিশেষ ধরনের খাবার, ওষুধ ইত্যাদি অ্যালার্জি ও অ্যাজমার সৃষ্টি করে। যে কারও অ্যালার্জি হতে পারে। সামান্য উপসর্গ থেকে শুরু করে হঠাৎ তীব্র আকারে হাঁপানি আক্রমণ করতে পারে। শীতকালে বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ এবং তার প্রতি সংবেদনশীলতার কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানি হয়। এর উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয় হাঁচি, কাশি, বুকে চাপা ভাব, শ্বস-প্রশ্বাস গ্রহণে বাধা। তবে বংশগত এবং পরিবেশগত কারণে হাঁপানিও হতে পারে।

কিছু পরিবেশগত কারণে অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে। যেমন—অ্যালার্জি, শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামজনিত, ভাইরাস সংক্রমণ, পেশাগত কারণ বা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত থাকা, আবহাওয়া, আবেগপ্রবণতা, দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত বা অনিয়মিতভাবে অপর্যাপ্ত ওষুধ সেবন ইত্যাদি।

সব রকমের ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীর শোবার ঘরটি সব সময় শুষ্ক, ধুলা ও মাইটমুক্ত হতে হবে।

ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে সে ব্যবস্থা করুন। রাতে ঘুমানোর সময় পর্যাপ্ত উষ্ণতায় থাকুন।

 সকালে প্রস্রাব-পায়খানার সময় মুখে কাপড় বা মাস্ক ব্যবহার করুন।

অ্যাজমার ওষুধ দুই ধরনের হয়- উপশমকারী ও প্রতিরোধককারী। সালবিউটামল জাতীয় ওষুধ উপশমকারী, যা তাৎক্ষণিকভাবে শ্বাসনালির ছিদ্রপথকে প্রসারিত করে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা কমায়। ইনহেল স্টেরয়েড, ক্রোমোগ্লাইকেট, মন্টিলুকাস্ট ইত্যাদি প্রতিরোধক ওষুধ যা ধীরে ধীরে কাজ করে। ওষুধ নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসনালিতে দ্রুত কাজ করানোর পদ্ধতি হলো ইনহেলার। এ ছাড়া ট্যাবলেট অথবা সিরাপ খেয়েও এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এ পদ্ধতিতে পার্শপ্রতিক্রিয়া বেশি।

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News