নিঃশব্দ ঘাতকের মতই বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড, লকডাউন পর্ব বেরিয়ে সেই সংখ্যাটা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হবার ক্ষেত্রে এখন আর নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। শরীরে রক্ত শর্করার পরিমাণ যে বাড়ছে তা কিন্তু একদিনে জানান দেয় না। হঠাৎ করে ঘাম হওয়া, ক্লান্তি, চোখ জ্বলা করা, পায়ের পাতা চুলকোলে-এই সব সমস্যাকে নিতান্ত মামুলি বলেই সকলে এড়িয়ে যান। আদতে কিন্তু ক্ষতি হয় শরীরের। আর সুগারের সমস্যা আসলে সেখান থেকে ওবেসিটি, কিডনির সমস্যা, উচ্চরক্তচাপের সমস্যা, কোলেস্টেরল এসব কিন্তু বাড়তেই থাকে। অগ্ন্যাশয় আমাদের রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যখন অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং কম পরিমাণে হরমোন তৈরি হয় তখন সেখান থেকেই কিন্তু আসে সুগারের সমস্যা।
উচ্চরক্তচাপ এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলেই কিন্তু সেখান থেকে আসে হার্টের নানা সমস্যা। নাক দিয়ে রক্ত পড়া, চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, কিডনির সমস্যা, ইউরিন ইনফেকশন এসব কিন্তু লেগেই থাকে। এছাড়াও হাতে বা পায়ে কোনও ক্ষত থাকলে তা শুকোতেও কিন্ত সময় বেশি লাগে। সুগার বাড়লে শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে সারাক্ষণ ঘুম পায়। এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যে কোনও সময় জটিল সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। রক্তশর্করা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সব সময় জীবনযাত্রাকেই দায়ী করা হয়েছে। এর নেপথ্য কারণ যে আসলে কী সে বিষয়ে চিকিৎসকরাও সঠিক কিছু বলতে পারেন না। ডায়াবিটিসের জন্য উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধ থাকলেও রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে না পারলে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। ডায়েট এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি এই পাতাগুলিও কিন্তু খেয়ে দেখতে পারেন। এতেও কিন্তু রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তুলসী পাতা
তুলসীর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। ডায়াবেটিসে তুলসী পাতা খাওয়া খুবই উপকারী। তুলসী পাতা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর নির্যাসে উপস্থিত গুণগুলি গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেতে হবে।
নিম পাতা
নিমের ডায়াবেটিস প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। নিম পাতা খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিম ছাড়াও মিষ্টি নিম অর্থাৎ কারি পাতাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ এই পাতাগুলো ইনসুলিন বাড়াতে এবং সুগার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
জলপাই পাতা
জলপাই পাতা চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। জলপাই পাতায় উপস্থিত গুণগুলি ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে। ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক থাকলে সুগারের মাত্রা বাড়ে না এবং ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে।
জবা পাতা
জবা ফুলের পাতায় অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। এগুলো সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই পাতা খুব দ্রুত প্রভাব ফেলে। যদি আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে থাকে, তবে জবা পাতা খেলে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।
শালগম পাতা
শালগম পাতায় ফাইবার ভালো পরিমাণে থাকে। খালি পেটে শালগম পাতা খেলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শালগম পাতায় উপস্থিত গুণাবলী ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।