শ্রীলঙ্কার ভারত সফর শেষ হবে এই রবিবার তিরুবনন্তপুরমে একদিনের ম্যাচের মাধ্যমে। আরও একবার ভারত থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাদের। প্রথমে টি-২০ ক্রিকেটে তরুণ ভারতীয় দলকে পেয়েও সিরিজ জিততে পারেন নি এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। তবে পুণের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে নিয়েছিলো। একদিনের সিরিজে অবশ্য বেকায়দায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা। গুয়াহাটিতে প্রথম্ম্যাচে ৬৭ রানে সহজ জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলো ভারত। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য ‘টিম ইন্ডিয়া’কে চেপে ধরলেও শেষমেশ ৪ উইকেটে হারতেই হয়েছে লঙ্কাবাহিনীকে। ২-০ ফলে এগিয়ে গিয়ে সিরিজ ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল। তিরুবনন্তপুরমের তৃতীয় ম্যাচটি সেই হিসেবে হয়ে দাঁড়িয়েছে কেবল নিয়মরক্ষার। তবে শ্রীলঙ্কার কাছে অবশ্যই তা সন্মানরক্ষার লড়াই। বিশ্বকাপের বছরের শুরুটা হোয়াইটওয়াশ দিয়ে হোক, এমনটা চাইছেন না শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা। তাই ম্যাচ জেতার জন্য মরিয়া হয়েই মাঠে নামবেন তাঁরা। গত ম্যাচে খেলেন নি ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তৃতীয় ODI-তে একাদশে ফিরতে পারেন তিনি।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রানে পরাজিত করে ইডেনে গিয়ে উপস্থিত হয় ভারতীয় দল, দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক দাশুন শানাকা টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে, শ্রীলঙ্কা দারুন শুরু করেছিল, অভিষেক ম্যাচেই অর্ধশতরান করলেন নুওয়ানিদু ফার্নান্দোর, ৭৩ রানের পার্টনারশিপ করেন কুশল মেন্ডিসের সাথে। তবে মিডিল ওভারে কুলদীপের ফিরকির জবাব ছিল না লঙ্কান লায়ন্সদের কাছে, মিডিল ওভারে ৩ টি উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার বড় রান করার স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেন তিনি, অন্যদিকে গতির খেলা দেখান মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক, তাদের গতির সামনে টিকতে পারেনি শ্রীলঙ্কা দল, তারা ৪০ ওভারে ২১৫ রান করতে সক্ষম হয়েছিল। জবাবে ব্যাটিং করতে এসে দ্রুত আউট হয়ে যান ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা, অধিনায়ক রোহিত শর্মা বানান ১৭, শুভমান গিল বানান ২১, বিরাট কোহলি বানান মাত্র ৪ রান, ও শ্রেয়স বানান ২৮ রান, খেলার হাল ধরেন লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া, পঞ্চম উইকেটে ৭৫ রান যোগ করেছে তারা। ম্যাচে ১০৩ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন রাহুল। শেষে অক্ষর ও কুলদীপের দ্রুত ব্যাটিং ভারতকে ৪ উইকেটে ম্যাচ ও সিরিজ দুটিই জিতিয়ে দেয়, দলে ফিরে এসেই ম্যাচের সেরা হলেন কুলদীপ যাদব।
দুটি ম্যাচে জয়লাভ করে ভারতীয় দল বেশ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, তৃতীয় ম্যাচে চাইবে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে সিরিজে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে। তৃতীয় ম্যাচটি খেলা হবে তিরুবনন্তপুরমের গ্রীনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। অন্যন্য মাঠের মতন এই মাঠে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে হয়না, ২০১৮ সালে শেষ খেলা হয়েছিল, এই ভেন্যুতে খেলা চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল কম স্কোরিং ম্যাচ, ভারত এখানে খেলা একমাত্র ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৪ রানে আটকে রেখেছিল এবং তারা সহজেই রান তুলে দেয়, রোহিত শর্মা ওই ম্যাচে সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন ও জাদেজা হয়েছিলেন সেরা বলার। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিরুবনন্তপুরমের পিচ সবসময় স্পিন বোলারদের বেশি সাহায্য করেছে।একই সময়ে, ডিউ (শিশির) ফ্যাক্টরও এই ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়তে শুরু করে, এমন পরিস্থিতিতে বোলারদের বল ধরতে সমস্যায় পড়তে হয় এবং ব্যাটসম্যানদের অনেক সুবিধা হয় খেলতে। এমন পরিস্থিতিতে টস জেতা দল এখানে প্রথমে বল করতে চায়।