বিদেশের মাটিতে সম্বলপুরি শাড়িতে ম্যারাথনে অংশ নিয়ে চমক

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাঙালি রমণীরা কী না পারে? কথায় বলে,যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! পেশায় শিক্ষিকা, তবে এক ম্যারাথনে শাড়ি পরে দৌড়ে নজির গড়লেন ব্রিটেনের এক মহিলা। ব্রিটেনে থাকলেও তিনি আসলে ভারতের ওড়িশার বাসিন্দা। ম্যারাথনের দিন তাঁর পরনে দেখা গিয়েছে ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী সম্বলপুরি শাড়ি, পায়ে কমলা রংয়ের স্নিকার। ৪১ বছর বয়সী মধুস্মিতা জেনা ৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ৪২.৫ কিমি পথ দৌড়েছেন।
রেসের ছবি সামনে আসতেই মানুষজনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। ভিডিওতে একটি লাল শাড়ি এবং কমলা স্নিকার্স পরে, ৪১ বছর বয়সি মধুস্মিতাকে দীর্ঘ দূরত্ব শাড়ি পরে দৌড়াতে দেখা গিয়েছে। তার এই পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ৷ এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখার মত। তাঁর কীর্তিতে গর্বিত ইংল্যান্ডবাসী ওড়িশার ভূমিপুত্র ও কন্যারা৷ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধুস্মিতা জানিয়েছেন তিনি যে পোশাকে স্বচ্ছন্দ তাতেই দৌড়তে অভ্যস্ত৷ জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যাঞ্চেস্টার ম্যারাথন ২০২৩-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই মধুস্মিতা অংশগ্রহণ করেন। তবে ম্যারাথনে অংশ নিয়েই তিনি সবার তাক লাগিয়ে দিলেন। ভারত তথা ওড়িশার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এক অভিনব পন্থা নিয়ে ম্যারাথনে দৌড়ান। এতে তিনি তাঁর রাজ্যের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কারণ শাড়িপ্রেমীদের সবারই জানা যে, সম্বলপুরী শাড়ি ওড়িশার এক ঐতিহ্যবাহী শাড়ি।

উল্লেখ্য, ‘ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’- এর অফিসিয়াল টুইটার হ্যেন্ডেলে ম্যারাথন দৌড়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিওতে, মধুস্মিতাকে শাড়ি পরে আরামে দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে লেখা আছে, ‘মধুস্মিতা জেনা, একজন ভারতীয়, যিনি ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারে থাকেন, একটি সুন্দর সম্বলপুরি শাড়ি পরে ২০২৩ সালের ম্যারাথনে ভারতীয় ঐতিহ্য প্রদর্শন করছেন। তিনি ভারতীয় ঐতিহ্যকে বিশ্বমঞ্চে মেলে ধরেছেন। তিনি শাড়ি পরে দৌড়ে আমাদের দেশের শাড়ি পড়ার ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরেছে।সবাই তার অনন্য স্টাইলের প্রশংসা করছেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সর্বোপরি, ভারতীয় নারী হিসাবে আপনার এই প্রচেষ্টাকে স্যালুট।’ অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ভারতের জনগণের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।’

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News