কলকাতায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নয়া অ্যাডিনো ভাইরাস

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কলকাতায় অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট। শিশু হাসপাতালগুলির আইসিইউ ও জেনারেল বেডে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত দেড় মাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া বদল থেকে ইমিউনিটির সমস্যাকেই দায়ি করছেন চিকিৎসকরা। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে ডাক্তাররা আরও জানিয়েছেন যে, এই সংক্রমণ অনেকটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে সর্দি ও কাশির প্রকোপ বাড়ছে। ফলে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে গরম পড়ছে। ফলে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, অ্যাডিনো ভাইরাসের মোকাবিলা নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও উদ্বিগ্ন। আইসিইউ বেড বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে ভেন্টিলেটর সাপোর্টও একাধিক জায়গায় প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকদের দাবি, গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর বেড়েছে। তা থেকেই ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১-২ বছরের শিশুরাই বেশি আইসিইউ-তে ভর্তি হচ্ছে। সোয়াইন ফ্লু বা অন্যান্য ভাইরাল ফিভারের মতোই একটি ভাইরাস সংক্রমণ এটি। উপসর্গও প্রায় একই। তবে পার্থক্য, এখনও কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই এই অ্যাডিনোভাইরাসের। চিকিৎসা বলতে শুধুই সাপোর্টিভ কেয়ার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা ভর্তি হয়েছে প্রায় প্রত্যেকেরই নিউমোনিয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আবার বেশিরভাগেরই ভাইরাল নিউমোনিয়া। অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর আগে ২০১৮-১৯ সালে এই ভাইরাসের দাপট দেখা গিয়েছিল। কোভিডের জন্য দুবছর শিশুরা বাড়িতেই ছিল। ফলে এই বয়সে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা তা হয়নি। এই রোগের চিকিৎসার একমাত্র উপায় লাইফ সাপোর্টিভ কেয়ার। অর্থাৎ পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-এ রোগীতে ভর্তি করতে হবে।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News