ঝড়ের গতিপথ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ ! শেষমেষ কার ভাগ্যে মোচা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ঘূর্ণিঝড় 'মোচা' নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। কোন পথে আছড়ে পড়বে মোচা? হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ৩০ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হবে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে তা গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে যাবে এবং অবস্থান করবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দফতরের ডিজি ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ''১০ মে থেকে ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে, বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রীয় অংশের দিকে এগিয়ে যাবে মোচা। ১২ মে সকালে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে অগ্রসর হবে। ''

     ১২ মে-র পর থেকে পাল্টাবে পথ। বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রশাসন। ওড়িশা থেকে মায়ানমার পর্যন্ত সুবিশাল অঞ্চলজুড়ে মোচার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

     স্বভাবতই তার মধ্যে বাংলা ও কলকাতা তো আছেই। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণাবর্তটি যদি উত্তর বা উত্তর পূর্বের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা বাংলা বা ওড়িশায় প্রবেশ করবে। সমুদ্রে অবস্থানের সময় শক্তি বাড়াতে পারে মোখা ।তবে এখনও অবধি যা পূর্বাভাস তাতে বাংলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোচার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।একইসঙ্গে এখনও অবধি আরও ভাল খবর, রেহাই মিলতে পারে সুন্দরবন, সাগর পাড়ের এলাকাগুলির। আপাতত হিসেবে অনুসারে আন্দামান-নিকোবরের গা ঘেঁষে উত্তরে সরবে নিম্নচাপ। ফলে দ্বীপপুঞ্জে প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে।

    এর মোকাবিলাতেই ইতিমধ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিতে আরম্ভ করেছে কলকাতা পুলিশ। আগাম কন্ট্রোল রুম খোলা হল লালবাজারে। ঝড়ের কারণে কোনরকম সমস্যা হলে, নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন শহরবাসী। রবিবার সকাল সাতটা থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিপর্যয়ের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত এজেন্সী আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে করা হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম। ফোন নম্বরগুলি হল, ২২১৪১৮৯০, ২২৫০৫০৩৩। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হল, ৯৪৩২৬১০৪৫০। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি কলকাতা থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ইতিমধ্যেই মত্‍স্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

৭ মে- ১২ মে অবধি তাঁদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস মতো ৮ মে সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের রূপ নেবে। পরদিন অর্থাত্‍ ৯ মে তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ। এরপর আদৌ সে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি জোগাতে পারবে কি না তা দেখার। তবে, ঘূর্ণিঝড় হোক বা না হোক হা হবে তা শুরু হবে ৮ মে থেকেই। আগামিকাল অর্থাত্‍ সোমবার (৮ মে ২০২৩) থেকে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই দিতে পারবে হাওয়া অফিস। বিশেষ করে নিম্নচাপের গতিবিধি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস সোমবার থেকেই আরও জোরালভাবে দেবে হাওয়া অফিস। প্রত্যেক ঝড়ে যেভাবে এই এলাকাগুলি লন্ডভন্ড হয় ফি বছর ঝড়ের পূর্বাভাসেই নিজেদের প্রমাদ গুনতে শুরু করেন এখানকার মানুষ। তবে ঝড় আসার আগেই এল নিনোর প্রভাবে চরম গরমে পুড়তে হবে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে। 

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News