চৈত্রেই ৪০ ডিগ্রি, পুড়ছে বাংলা, এগিয়ে এল গরমের ছুটি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

চৈত্রের শেষবেলা থেকেই তীব্র দহনজ্বালা শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতা সহ বাংলার অন্তত সাত জেলাতে। তাপমাত্রা এখনই ৪০ ডিগ্রিতে। বেলা বাড়লেই লু বইছে। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র গরম ও অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যেই স্কুলে ছুটতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বুধবার শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, 24 মে-র বদলে রাজ্যের সরকারি স্কুলে 2 মে থেকেই গরমের ছুটি পড়তে চলেছে। তীব্র গরমে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই প্রায় তিন সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়েছে গরমের ছুটি। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের 24 মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ যেভাবে চড়ছে সেই প্রেক্ষিতে 24 তারিখের ছুটি এগিয়ে এল 2 তারিখে।

৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে ৪২ এর পথে এগোতে চলেছে তাপমাত্রা। সঙ্গে শুকনো গরম হাওয়া। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় এমনকি উত্তরবঙ্গের তিন জেলাতেও তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বাধ্য হয়ে স্কুলের পঠনপাঠন সকালের দিকে এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান, মালদহের মতো জেলা প্রশাসন। একাধিক জেলায় স্কুলের সময়সূচিতেও বদল আনা ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কী কী করণীয় তার পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর। বেলা বাড়লে রাস্তায় বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। এই সময় হিট স্ট্রোক, হিট র‍্যাশের ঝুঁকি বেশি। তাই সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় বেরলে সঙ্গে অবশ্যই ছাতা, টুপি রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, আগামীকাল থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করেছে আবহাওয়া দফতর। এমনকী 14 থেকে 16 এপ্রিল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর সামগ্রিক দিক বিচার করেই পড়ুয়াদের ছুটি এগিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে কলকাতাতেও। এমন অবস্থায় কড়া রোদ্দুর থেকে নিস্তার নেই পড়ুয়াদেরও। আর দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলতে থাকলে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে বলেও অশঙ্কা অভিভাবকদের। তাই সব দিক বিবেচনা করেই এবার পড়ুয়াদের জন্য স্বস্তির বার্তা দিয়েছে শিক্ষা দফতর।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News