বর্ষা আসছে তবে এই ক’দিন গরমের অস্বস্তি থাকবে, এদিকে ১৯০ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ তাণ্ডব চালাবে
শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের ১৩ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও গরমের অস্বস্তি থাকবে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই আবার আরব সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণেও বাংলায় বেশ খানিকটা দেরিতে ঢুকবে বর্ষা এ কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
মৌসম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ৮ জুন সকাল পর্যন্ত এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্রতর হতে পারে। আরব সাগরে সৃষ্ট এই এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হলে তার ধ্বংসলীলা আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার, সাগরে ৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত খুব উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ প্রভাব দেখা যাবে গুজরাতের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে।
ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা আসার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই কেরলে বর্ষা ঢুকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাজ্যগুলিতে মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটবে। অর্থাৎ, শুক্রবারের মধ্যে বর্ষা ঢুকছে কেরলের পাশাপাশি পূর্ব ভারতেও। ইতিমধ্যেই কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রবিবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গেও বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি।
পশ্চিমের জেলাগুলির পাশাপাশি তাপপ্রবাহ চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও। কোথাও কোথাও পারা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। এই অসহ্য গরমের মধ্যে কিছুটা সুখবর। রবিবার থেকে হাওয়াবদলের আশা, শুরু হয়ে যাবে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি। এমনই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ৯ জেলায় বৃষ্টির আশা রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও (Kolkata)। রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরের সব জেলাতেই। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে।
আজ, ৭ জুন, সকাল ৫:৩০ মিনিটে, পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। এটি 12.6N এবং 66.1E অবস্থানে কেন্দ্রীভূত এবং গোয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে থেকে প্রায় ৮৯০ কিলোমিটার দূরে স্থিত।
বর্ষা আসছে তবে এই ক’দিন গরমের অস্বস্তি থাকবে, এদিকে ১৯০ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ তাণ্ডব চালাবে