"ধনেপাতা" কে শাক বলা যেতে পারে। দেখতে সবুজ এমন একটি শাক যা কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায় এবং তরকারিতে ও ব্যবহার করা যায়। ধনেপাতা খুবই সুস্বাদু ও ভিটামিনে ভরপুর একটি শাক। এমনি শরীরের জন্য সবুজ জিনিস খাওয়া উপকারী। যেকোনো রান্নাতে ধনেপাতা অন্যরকম স্বাদ এনে দেয়।এখন বাজারে বা মানুষ নিজেদের বাড়িতেই ধনেপাতার চাষ করে। আর দামেও কম। আর শীতকালে প্রত্যেক বাড়িতেই এই উপকরণটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে বেশি পরিমাণে আনলে নষ্ট হয়ে যাওযার ভয় থাকে। নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে এই রান্নাটি একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ধনিয়া চিকেন, ধনেপাতার বড়া, ধনে পাতা বাটা ও আরও নানা পদ আপানরা এতদিন খেয়ে এসেছেন। তাই আজ শুধু ধনেপাতা দিয়ে অন্য একরকম রেসিপি নিয়ে আসা হলো।মূলত ভর্তা জিনিসটা বাংলাদেশিরা বেশি পছন্দ করে, তাই বাংলাদেশি একটি রান্নার রেসিপি রইলো আপনাদের জন্য।
আজ রইলো ধনে পাতার ভর্তা রান্নার পদ্ধতি।
উপকরণ :
ধনে পাতা আঁটি = দুটি
পিঁয়াজ কুঁচানো = ১ টি বড় সাইজের
রসুনের কোয়া = ৮-১০ টি
শুকনো লঙ্কা গোটা = ৪-৫ টি ( যে যেমন ঝাল খায় )
নুন = স্বাদ মতো
সষের তেল = ২ চামচ
প্রণালী :
ধনেপাতার পাতা ও সরু ডাটি গুলো নিয়ে কুচিয়ে নিন। এবার বড় পিঁয়াজ টি সরু সরু করে কুচিয়ে নিন।
এবার কড়াই গরম করতে দিয়ে ওতে সষের তেল টি দিয়ে দিন। এবার ওতে রসুনের কোয়া ও শুকনো লঙ্কা ভেজে নিন। তবে আঁচ কম রাখবেন যাতে রসুন পুড়ে না যায়। আর কম আঁচে রসুনও সিদ্ধ হয়ে যাবে।রসুন সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে ওই তেলে পিঁয়াজ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভেজে নিন। পিঁয়াজ লাল লাল হয়ে এলে ধনে পাতা কুঁচানো দিয়ে দিন। এবার আসতে আসতে নাড়তে থাকুন এখন বেশি আঁচে রাখবেন যাতে জল কেটে না যায়। আর নুন তখনি দেবেন না। ধনে পাতা সব জল শুকিয়ে এলে ও ভাজা ভাজা হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
এবার একটি পাত্রে শুকনো লঙ্কা ও রসুনের কোয়া গুলি একসথে নিয়ে ওতে পরিমাণ মতো নুন দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার এতে ধনেপাতা ভাজাটা মিশিয়ে নিন ও উপর দিয়ে একটু কাঁচা তেল ছড়িয়ে দিন। তাহলেই তৈরী ধনে পাতার ভর্তা। গরম ভাতে এই রান্নাটি থাকলে পুরো ভাত শুধু এই দিয়ে খাওয়া হয়ে যাবে।তাহলে দেরি না করে একবার বানিয়ে দেখে নিন এই রান্নাটি।