গঙ্গা বাঁধের ভাঙন রুখতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্জি বাংলার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

রাজ্যে মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশের গঙ্গা ভাঙন নতুন কোন ঘটনা নয়। প্রতিবছর বর্ষার সময় কার্যত রাক্ষসের রুপ ধারণ করে গঙ্গা। ধান জমি থেকে শুরু করে পাকা বাড়ি সবই অনায়াসে তলিয়ে যায় নদী গর্ভে। প্রতিবছর বর্ষার পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে গঙ্গা ভাঙন রোধের জন্য একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হলেও, গঙ্গার স্রোতের সামনে কিছুই ধোপে টেকে না। প্রতিবছর বর্ষার সময় নদী লাগোয়া কয়েক হাজার পরিবার নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে আসেন প্রাণের তাগিদে। আর এবার গঙ্গা ভাঙ্গন রোধে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “ প্রতি বছর বর্ষাকালে গঙ্গা ভাঙন এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিঘের পর বিঘা জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।" তিনি আরও জানিয়েছেন, “ মূলত নদী বক্ষে পলির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে ফারাক্কা ব্যারেজের ফলে নদীর গতি পথের পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই সমস্যা, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পর থেকে এই সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।

নদী বাঁধের ভাঙন সামলাতে ফারাক্কা বাঁধ  কর্তৃপক্ষ কোন রকম সহযোগিতা করে না।“ ২০০৫ সালের পরে নদী ভাঙন রুখতে ফারাক্কা কর্তৃপক্ষের অধীনে এলাকা ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৮০ করা হয়েছিল, কিন্তু নদী বাঁধ সংরক্ষণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, “ ২০১৭ সালে ফারাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষের সীমানা কমিয়ে নেয় কেন্দ্র সরকার, এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বললে, কোন রকম সাহায্য পায়নি।“ নদী বাঁধের সংস্করণ করতে ইতিমধ্যেই ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার, কিন্তু এখনও প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা প্রয়োজন, যা রাজ্যের পক্ষে দেওয়া অসম্ভব। এ নিয়ে গত আগস্টে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইলেও কোন রকম সদত্তর মেলেনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনু্রোধ করেছেন, “ ফারাক্কা বাঁধের সীমানা আগের মতোই যেন করা হয় এবং বাঁধ সংরক্ষণে কেন্দ্র যেন প্রকল্প গ্রহণ করে।“

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Tags:

Related News