কথায়
আছে মাছে ভাতে বাঙালি। তাই বাঙালির দিনের শুরু ও শেষ টা
হয় ভাত দিয়েই। আর রান্না করতে
গেলে অনেক সময়ই ভাতের পরিমান বেশ বা কম হয়ে
যায়। আর বেশি হলে
অনেক সময়ই সময়ই দিনের বেচে যাওয়া ভাত তুলে রাখি ফ্রিজে। কিংবা পরের দিন নতুন করে ভাত রান্নার সাথে তা মিশিয়ে নি।
আবার অনেকেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ফেলে দেন। কিন্তু এবার থেকে মুখরোচক স্ন্যাকস বানাতে কাজে লাগান বেচে যাওয়া ভাত।
সন্ধ্যা হলেই অনেক সময় মুখরোচক কিছু খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। তবে এই দূরমূল্যের বাজারে নতুন কিছু বানাতে গেলেই লাগে হাজার রকমের জিনিস। আর তা কিনতে আলাদা খরচা। তাই আপনাদের জন্য রইলো এমন একটি রেসিপি যা বানানো যেমন সহজ তেমনই খেতে সুস্বাদু। আর লাগবেও সামান্য কিছু উপকরণ।
ভাতের
পকোড়া বানানোর জন্য লাগবে-
>২
টো মাঝারি সাইজের সেদ্ধ আলু।
>২
টো মাঝারি মাপের পেঁয়াজ কুচি।
>১
বাটি ভাত(মাঝারি সাইজের বাটি)।
>স্বাদ
মতো কাঁচা লঙ্কা কুচি।
>১
টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস।
>এক
মুঠো ধনেপাতা কুচি।
>১
চা চামচ আদা কুচি।
>১
চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো।
>১
চা চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো।
>২
চা চামচ জিরে গুঁড়ো।
>স্বাদ
মতো নুন।
>২
টেবিল চামচ ব্যসন।
>প্রয়োজন মতো সাদা তেল।
বানাবেন
যেভাবে-
ভাতের
পকোড়া বানানোর জন্য সবার প্রথম পান্তা ভাত থেকে জল ঝরিয়ে নিতে
হবে। আর অন্যদিকে কড়াইতে
সামান্য তেল গরম করে তাতে কুঁচানো পেঁয়াজ ও কাঁচা লঙ্কা
কুচি হালকা ভেজে নিতে হবে।
এবারে
জল ঝরানো ভাতে একে একে সেদ্ধ আলু, ভাজা পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা কুচি, আদা কুচি, পাতিলেবুর রস, গরম মশলা গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, স্বাদ মতো নুন ও ব্যসন, প্রয়োজনে
সামান্য জল দিয়ে ভালো
করে চটকে মেখে নিন। যাতে আলু বা ভাতের কোনো
দানা না থাকে।
এবারে
কড়াইতে প্রয়োজন মতো তেল গরম করে তাতে ভাতের মাখা মিশ্রণ থেকে কিছুটা নিয়ে পকোড়ার মতো লাল করে ভেজে গরম গরম চা কিংবা চাটনি
বা টমেটো সসের সাথে সার্ভ করুন সুস্বাদু এই পকোড়া।