বুদ্ধং শরণং গচ্ছামিঃ এক ঝলকে দেখে নিন বুদ্ধপূর্ণিমা দিনটির তাৎপর্য

banner

#Pravati Sangbad Digital :

সালটা ৫৬৩  খ্রিষ্টপূর্বাব্দ,অধুনা নেপালের দক্ষিণ( তরাই অংশে) লুম্বিনি নামক স্থানে রাজা শুদ্ধধন এবং রানি মায়ার ঘর আলো করে আসেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ ,ইতিহাস ও ধর্মগ্রন্থের পাতায় যিনি ভবিষ্যতে পরিচিত হবেন ‘গৌতম বুদ্ধ’ এই নামে ।
শাস্ত্র অনুসারে ,বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে আবির্ভাব হয় ভগবান বিষ্ণুর এই নবম অবতারের।পঞ্জিকা মতে, এ বছর বুদ্ধ-পূর্ণিমার তিথি শুরু হয় ৩১-শে বৈশাখ রবিবার আর সমাপ্ত হচ্ছে সোমবার অর্থাৎ আজ। 
কপিলাবস্তুর (বর্তমানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের অন্তর্গত) শাক্যবংশের যুবরাজ সিদ্ধার্থকে কোনোদিন আকৃষ্ট করতে পারেনি রাজপ্রাসাদের বিলাস ব্যসন। সংসারের মায়াত্যাগ করে স্বেচ্ছায় হয়েছিল তাঁর মহাভিনিস্ক্রমণ,তারপর বহুবছরের সাধনা,তপস্যালব্ধ জ্ঞানকে সম্বল করে বেরিয়ে পড়েন নিম্ন-গাঙ্গেয় সমভূমির উদ্দেশ্যে যেখানে তিনি শেখাবেন মধ্যপন্থা,শুরু করবেন শ্রমণ আন্দোলন,গড়ে উঠবে এক নতুন ধর্ম, সূচীত হবে এক নতুন অধ্যায়ের। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের পশুবলি এবং বর্ণপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। বোধিবৃক্ষের তলায় ৪৯ দিন কঠোর তপস্যারত গৌতম এর অনেক নাম এর মধ্যে একটি নাম ছিল ‘বধিসত্ত’।তিনি শুধুই একজন ধর্ম -প্রবর্তক বা প্রচারক ছিলেন না ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সমাজ সংস্কারক।
মহামানবেরা নশ্বর দেহ রক্ষা করেন,থেকে যায় তাঁদের বানী,শিখন,ধারনা ও মতবাদ। শাক্যমুনির সমস্ত চিন্তন, আদর্শ ও ভাবনা লিপিবদ্ধ করা আছে 'ত্রিপিটক’ধর্মগ্রন্থে। আজকের এই দিনটির তাৎপর্য আজকের দিনেই ‘শাক্যসিংহ’ সিদ্ধিলাভ করেন এবং তার সিদ্ধিলাভ করেন। এ বছর পালিত হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের ২৫৮৪-তম জন্মবার্ষিকী। আজকের দিনটি শুরু হয়েছে বিভিন্ন মঠে ভক্তকুলের শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এরপরের পালনসূচীর মধ্যে আছে বৌদ্ধবিহার গুলিতে,প্রদীপ প্রজ্বলন,শান্তি-শোভাযাত্রা,ধর্মীয় আলোচনা-সভা,সমবেত প্রার্থনা ইত্যাদি। এছাড়াও স্তোত্রপাঠ ও ধ্যানের রীতি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।সাধারনত এদিন শাক্যমুনির ‘পঞ্চশীল’ নীতি ও 'অষ্টাঙ্গিক মার্গ' প্রচার করা হয়। সার্বিক ভাবে( আধ্যাত্মিক, ধার্মিক, ঐতিহাসিক) আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Journalist Name : Suchismita Dasgupta