নিভৃতবাস থেকে উঠলেন জগন্নাথদেব! নবযৌবন উৎসবে মাতোয়ারা মাহেশ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

মাহেশের ৬২৬ বছরের জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা; উৎসবের প্রাক্কালে এক বিশেষ উৎসব হল নবযৌবন বা নবকলেবর উৎসব। পৌরাণিক কাহিনী মতে, স্নানযাত্রা উৎসবের পর জগন্নাথ দেবের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। তাই মহাপ্রভুকে একদম একান্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে ১৫ দিনের জন্য নিভৃত বাসে রাখা হয়। এই ১৫ দিন মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ থাকে। এমনকি ভক্তদের নাম কীর্তনও বন্ধ থাকে ওই সময়। ১৫ দিন বাদে মহাপ্রভু সুস্থ হয়ে উঠলে সেই দিনটিকে পালন করা হয় নবযৌবন উৎসব রূপে।
এদিন মহাপ্রভুর জন্য ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়; একইসঙ্গে এই দিনে জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রা তিনজনকে অলঙ্কার পরিয়ে নতুন রূপে রাজ বেশে সাজানো হয়।আর কথিত রয়েছে, জগন্নাথ দেব এই দিন জ্বর থেকে সেরে উঠে মহানন্দে থাকেন। দীর্ঘ ১৫ দিন মন্দিরের মধ্যে নিভৃত বাসায় থাকার পর আজই প্রথম মহাপ্রভুকে দর্শন জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হয়।
এই নবযৌবন উৎসবের এক বিশেষ মাহাত্ম্য হল জগন্নাথ দেবের হাত। নবযৌবন উৎসবের দিন জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত লাগানো হয়। ভক্তদের বিশ্বাস এই দিন জগন্নাথ দেব রাজ বেশে থেকে সমস্ত ভক্তদের দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেন। এই একটি দিনই জগন্নাথ দেবের শরীরে হাত দেখতে পাওয়া যায়। মাহেশের নবযৌবন উৎসবের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল একদম সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় ৭টা বাজতে না বাজতেই মন্দিরের মূল ফটক সহ গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। এই দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও পালিত হয় নবকলেবর উৎসব। সেখানেও জগন্নাথ দেবকে জাঁকজমক করে তার আরাধনা করা হয়। ঠিক এর একদিন বাদেই মূল রথযাত্রা উৎসব। কথিত রয়েছে, এই নব-যৌবন উৎসবের পরেই জগন্নাথ দেব রথে চড়ে ঘুরতে বের হবেন তার মাসির বাড়ি। দীর্ঘ দুই বছর করোনা মহামারীর জেরে টান পড়েনি রথের দড়িতে। এই বছর মহামারীর প্রকোপ কমতেই  ধুমধাম করে রথ উৎসব পালনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে মাহেশের  জগন্নাথ মন্দিরে।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK