রথযাত্রার শেষ দিনঃ ফিরুক মেলার নস্টালজিয়া

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আজকে উল্টো রথ মানে জগন্নাথের মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি আসার দিন। উল্টো রথ রথযাত্রার ৭ দিন পর অনুষ্ঠিত হয়। আসলে রথযাত্রার দিন মূল মন্দির ছেড়ে ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র দেব ও সুভদ্রাদেবী মাসীর বাড়ী যান। এবং উল্টো রথের দিন মাসীর বাড়ী থেকে পুনরায় মূল মন্দিরে আগমন করেন। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই “ উল্টো রথ ” অনুষ্ঠিত হয়।
উল্টো রথকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রার দিনের মতোই রথ টানা হয়। ব্যাতিক্রম থাকে কিছু জায়গায় যে রথকে উল্টো দিক থেকে আকর্ষণ করা হয়। রথ টানার সময় চারদিক থেকে উলুধ্বনি দিয়ে ভক্তদের ছিটানো বাতাসা, মিষ্টি ছাড়াও বিভিন্ন ফল বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে। এই উল্টোরথযাত্রা উৎসবে বিভিন্ন স্থানে মেলা ও ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন করা হয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্ম কাহিনী থেকে মেলার উৎপত্তি। এই মেলায় প্রতিবছরই থাকে দেশবিখ্যাত সার্কাস দল, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, শিশুদের জন্য কাঠের, বাঁশের, মাটির খেলনা, কুটির শিল্প, তৈজসপত্র, ফার্নিচার ও খাদ্যদ্রব্য যেমন বাদাম ভাজা, জিলিপি, ভুট্টা সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বসে মেলায়। 
মেলা মানেই উৎসবের উদ্বোধন; এই মেলায় ছোটো থেকে শুরু করে বড়ো সকলেই আসে। রথযাত্রাতে রাস্তার পাশে যেসকল দোকানগুলো বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছিল সেগুলো আর খোলা হয় না। এই উল্টোরথে আবার সেখানেই দোকান বসে। সকাল থেকেই দোকান দেওয়ার জন্য আয়োজন শুরু হয়ে যায়। আর বিকেল থেকে মেলায় সব লোকের যাতায়াত শুরু হয়। 
সকালে যখন প্রস্তুতি নেওয়া চলে তখন আসে পাশের পাড়ার ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েরা একবার ঘুরে যায়। তারা কোথায় কিসের দোকান বসছে সেসব দেখে যায় আর বিকেলে বাড়ির লোকের সাথে মেলায় এসে আগে সেই দোকানগুলোতে যাওয়ার জন্য আবদার করে। মেলায় বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা, গাড়ি, দোলনা, সার্কাস ইত্যাদি বসে।এছাড়াও অনেক ছেলেমেয়েরা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মেলায় ঘুরতে আসে। মেলায় এরকম একটা গ্রুপ বেরোলে এরাই মেলায় সবথেকে বেশি হইহুল্লোড় করে থাকে। অনেক বয়স্করা মন্দিরে পূজো দিতে এসে মেলায় ঘুরে যান। তাঁরা মেলা থেকে তাদের প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস কেনে্ন।
শুধু মেলা নয় মন্দিরেও অনেক বড়ো করে পূজো হয়। অনেক দূর থেকে সেই পূজো দেখতে আর মেলায় ঘুরতে অসংখ্য মানুষ আসে। রথের গমনাগমন দেখতে সব ধর্মের হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে এইদিন। উল্টো রথ রথযাত্রার শেষ দিন। আর এর পরেই শুরু হয় আগামী বছরের রথযাত্রার কাউন্টডাউন।

Journalist Name : Suchorita Bhuniya