আমার রথযাত্রা শারদোৎসবের সমান

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

রথযাত্রা আমার কাছে কেন  দুর্গা পুজোর সমান তা নিয়ে পরে আলোচনা করছি প্রথমেই যেটা বলতেই হয়,হিন্দুধর্মের অন্যতম বিখ্যাত উৎসব হল রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে আয়োজিত এই উৎসবটির কেন্দ্রস্থল ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরটি হলেও পশ্চিমবঙ্গেও এই রথযাত্রা যথেষ্ট জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হয়।এই রথযাত্রা প্রতিবছর উড়িষ্যার দিনপঞ্জির আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে আয়োজিত হয়ে থাকে। রথযাত্রার উৎসবের আমেজে এদিন মাতোয়ারা বাঙালির আর ওতপ্রোতভাবে জড়িত রথের মেলার মজা। উৎসবের কয়েকদিন আগে থেকেই রাস্তার ধারে স্টল তৈরির কাজ, বাঁশ পোঁতা শুরু হতেই মেলার মেজাজ ঘিরে ধরে। আর ধীরে ধীরে রঙ বাহারি স্টল-দোকানপাটের ঝাঁপি খুলতেই , তাতে চোখ চলে যায় স্কুল ফিরতি শিশুদের । শুরু হয় রথের মেলার অপেক্ষা।পাঁপড় ভাজা থেকে জিলিপি, রান্নাবাটি, কাঠের রথ, আটবেশের সামগ্রী, এগুলো ছাড়া রথের মেলা ভাবাই যায় না! দেখে নেওয়া যাক এমনই কিছু জিনিস , যাকে ঘিরে বাঙালি আজও ভোগে নস্টালজিয়ায়।ভাজা পাঁপড় ছাড়া রথের মেলা ঠিকঠাক মেজাজে জমে না!রথের মেলায় পথের ধারের দোকানে গিয়ে রান্নাবাটি থেকে পুতুল , কিংবা প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ির জন্য যদি কচিকাটার বায়নাই না জুড়লো , তবে তা কেমন রথের মেলা! তাই খেলনার দোকানের সামনে কচিকাচাদের ভিড় আর তাদের অভিভাবকদের ভিড় এদিনের অন্যতম সেরা মুহুর্তকে তুলে ধরে।রথের মেলা থেকে ছোট রথ কেনার ধুম এদিন সকাল থেকেই দেখা যায়। ছোট কাঠের রথে জগন্নাথ ,বলরাম ,সুভদ্রাকে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ এযুগের কচিকাচাদের মধ্যেও কিছুটা চোখে পড়ে। রথের মেলায় নাগোরদোলায় চড়ে হইচইয়ের মজাই আলাদা! তাই এদিন এই আনন্দ থেকে নিজেকে অনেকেই বাদ রাখতে চান নাপ এতো গেলো রথের মেলার সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা কথা। সামান্য তার কারণ একটাই; আমাদের বসবাস ( কলকাতায় থাকলেও) আদি বাড়ি চুঁচুড়ায় আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ দেব থাকায় সেখানে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা  হয়ে থাকে। ৩৫০ বছরের পুরনো এই রথযাত্রা। আমাদের এই উৎসবে আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে মহাপ্রভুর আরাধনা করে থাকি। নতুন বছর পড়লে সব বাঙালিরাই দেখেন দুর্গা পুজো কবে আছে কিন্তু আমি দেখি রথযাত্রা কবে আছে,প্রায় শারদোৎসবের মতো সমারোহে প্রভুর স্নানযাত্রা থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত আমাদের ভীষণ আনন্দ হয়ে থাকে সবথেকে বেশি আনন্দ হয় উল্টোরথের আগের দিন রাতে। সেইদিন সারা রাত প্রভু জগন্নাথদেব সাদা পোশাক পড়ে জেগে থাকেন তার সাথে হয় নানা অনুষ্ঠান আর পরিবারের সকলেই সেদিন প্রভুর মতো পরিবারের সবাই শ্বেতবস্ত্র পরিহিত থাকে্ন আর সারা রাত জেগে থাকার প্রভুর ভোরে মঙ্গল আরতির পর পরিবারের সবাই চুঁচুড়ার আমাদের মল্লিকদের  "ঘন্টা ঘাট" -এ বসে আড্ডা তার সাথে গান আর ভোরের গঙ্গার পাড়ের হাওয়া এককথায় মনোরম পরিবেশ।তাই উল্টো রথের আগের দিন আমার কাছে একটু বেশি স্পেশাল আমার কাছে। তারপর বিকেলে হয় প্রভুর রথযাত্রা। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের রথ আমাদের বাড়ির উঠোনেই টানা হয়ে থাকে রাস্তায় বের হয়না।তাই এই রথযাত্রা আমার কাছে দুর্গা পুজোর সমান। 

Journalist Name : SRIJITA MALLICK