ভেষজ আবিরের বসন্ত উৎসব

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

"খোল দ্বার খোল, লাগলো যে দল", আজ বসন্ত উৎসব। স্বাভাবিক ভাবেই আজ বঙ্গবাসী মজেছে রং খেলার নেশাই। উল্লেখ্য ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল উৎসব বা দোল যাত্রা মহা সমারহে পালিত হয়ে থাকে, মূলত দোল যাত্রা আর আবিরের সম্পর্ক আমরা বহু আগে থেকেই পায়, সেই ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং রাঁধার সময় থেকেই। প্রাচীন ভারতের বৃন্দাবনে দোল যাত্রার প্রচলন থাকলেও বাংলায় সেই অর্থে কোন দিনই ছিল না, এই রাজ্যে দোল যাত্রা মূলত প্রচলিত হয়েছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় থেকেই, তার সাধের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবে এই উৎসব পালন করে বসন্তের আগমনকে স্বাগত জানাতে, আর সেখান থেকেই বাঙ্গালির বসন্ত উৎসবের সূচনা। 
বাঙ্গালির কাছে বসন্ত উৎসব বলতে রং ছিল না কোন দিনই, ছিল আবির, আর তাতেই মেতে উঠতেন সকলে। প্রথম দিকে আবির ভেষজ পদ্ধতিতে তৈরি হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়, তার বদলে বাজার করে ফেলে বিভিন্ন ক্যামিকেল মিশ্রিত আবির যা শরীরের পক্ষে প্রচণ্ড পরিমানে ক্ষতিকারক। অনেকের আর সেই আবিরে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জী, স্কিনের সমস্যা আরও নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
তবে এবার বসন্ত উৎসবে ভেষজ আবির তৈরি এবং বিক্রিতে জোর দিয়েছিলো রাজ্য সরকার। রাজ্যের সাধারণত কল্যাণী এবং বীরভূমের কিছু গ্রামে এই ভেষজ আবির তৈরি করা হয়ে থাকে, আর তাতেই আরও উৎসাহ প্রদান করেছে রাজ্য সরকারের প্রকল্প সুফল বাংলা। তবে এই প্রথম নয় রাজ্যে ভেষজ আবিরের পথ দেখিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়য় বেশ কিছু বছর আগেই, ধীরে ধীরে অনেক গবেষণার পরে আবার রাজ্যে শুরু হয়েছে ভেষজ আবিরের বিপনন। মূলত গাছের ছাল, শেকর, ফুলের পাপড়ি, পাতা এই সমস্ত উপাদান থেকেই ভেষজ আবির তৈরি হয়।

যেমন পলাশ ফুলের পাপড়ি থেকে কমলা, পালং শাক থেকে সবুজের আভা, বিট থেকে লাল, অপরাজিত ফুলের পাপড়ি থেকে নীল, শুধু তাই নয় শিশুদের জন্য রয়েছে নিম, অ্যালোভেরা এবং হলুদের মতো স্বাস্থ্যকারি সামগ্রীর আবির। ভেষজ আবির তৈরি ফলে একদিকে যেমন শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি মিলেছে অন্যদিকে ঠিক তেমনই গ্রাম বাংলায় বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগও।

Journalist Name : sagarika chakraborty

Tags: